ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে পতিত স্বৈরাচার এবং অসাংবিধানিক শক্তি লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে যারা রাজপথে আন্দোলন করছে, তা কমিশনের এজেন্ডায় ছিল না। সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে যেকোনো বিষয়ে দাবি জানানোর, আমরাও রাজপথে আমাদের বক্তব্য দেব।
তবে রাজপথে তো পিআর আদায় করা যাবে না, আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা।’
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অভিমত উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন সরকার সাংবিধানিক কিনা।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান মেনে এই সরকার গঠিত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সনদের যেসব বিষয় সংবিধান-সম্পর্কিত, তা বাস্তবায়নের আগে বিচার বিভাগের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। সাংবিধানিক আদেশ আজ বা কাল চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কিন্তু জাতির সামনে খারাপ উদাহরণ তৈরি করা ঠিক হবে না।’
সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘সবাই মতামত দিলে বিবেচনা করা যায়।
তবে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা সনদে স্বাক্ষর করেই জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন। এমন কিছু মৌলিক সংস্কারমূলক বিষয় আছে, যা বাস্তবায়নে সংসদীয় গণভোটেরও প্রয়োজন হতে পারে। তাহলে একই বিষয়ে দুইবার গণভোটের প্রয়োজন কেন? এসব বিষয় আলোচনার টেবিলেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি নির্বাচন অনিশ্চিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে পতিত ফ্যাসিবাদ এবং অসাংবিধানিক শক্তি লাভবান হবে।’
তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে এবং সংসদ গঠনের পর মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় গণভোট আয়োজনের বিষয়টিও তখন বিবেচনায় আনা যেতে পারে।

Leave a Reply