নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘সম্মতি’ হামাসের

নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘সম্মতি’ হামাসের
ফাইল ছবি : এএফপি
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া গাজার যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে বলে সোমবার এএফপিকে জানিয়েছেন হামাসের একটি সূত্র।

সূত্রটি জানায়, ‘হামাস ও এর সহযোগী গোষ্ঠীগুলো কোনো সংশোধন ছাড়াই নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। প্রস্তাবের জবাব ইতিমধ্যেই মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘নতুন প্রস্তাব’ পেয়েছে হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘নতুন প্রস্তাব’ পেয়েছে হামাস

আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আরেক ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, ‘মধ্যস্থতাকারীরা শিগগিরই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দেবেন ও নতুন করে আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করবেন।

চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা দিয়েছেন ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
তবে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে এ খবরের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মিসরও ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় জড়িত রয়েছে। মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এর আগে একাধিক প্রচেষ্টা হলেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়নি।

২৩ মাসে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, ‘প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি রাখা হয়েছে, যাতে দুই ধাপে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি ও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তাসহ আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হিসাবে, গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে এখনো ৪৯ জন গাজায় আটক রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৭ জন ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

সেদিনের হামলায় এক হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে জাতিসংঘ জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *